ডেস্ক নিউজ : দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। খালেদার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ আদালতের উপর নির্ভর করছে বলেও দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরকালে এসব কথা বলেন হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রতিনিধি দলের (ইইউ) একজনও জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি তাদেরকে বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়। আদালত যদি অ্যালাও করেন, তাহলে ইসির কিছু করার নেই। আর যদি অ্যালাও না-ও করেন, তাহলেও ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে না।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব আরো বলেন, তারা সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সবকিছু করবেন।
সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে জ্যঁ ল্যামবার্ডের নেতৃত্বে ইইউয়ের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, তারা আগামী সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। সিইসি তাদেরকে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদে সংসদ সদস্যরা ভোট দেন। এবার যেহেতু একজন প্রার্থী ছিলেন। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বা নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে কোনো প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
হেলালুদ্দীন বলেন, প্রতিনিধি দল মূলত আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। নির্বাচনী খরচের সার্বিক তথ্যও জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযারী তা সরকার বহন করে থাকে।
প্রসঙ্গত আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় কারো ন্যূনতম দু’বছর কারাদণ্ড হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। কিন্তু বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদার রায়ের পর বিষয়গুলো তুলে ধরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, উনার (খালেদা) ব্যাপারে আপিল বিভাগ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তাদের ব্যাপার।